One time learning life time earning.

Google Marketing

সার্চ ইঞ্জিনের মধ্যে সব থেকে নাম্বার ১ হলো গুগল। প্রথমত আমরা জানবো সার্চ ইঞ্জিন কি ?

সার্চ মানে খোঁজা ইঞ্জিন মানে যন্ত্র। তাহলে সার্চ ইঞ্জিন মানে হল খোঁজার যন্ত্র। অর্থাৎ যেখানে মানুষ কোন কিছু খোঁজে তাকেই সার্চ ইঞ্জিন বলা হয়। পৃথিবীতে এক হাজার প্লাস সার্চ ইঞ্জিন আছে। যেমন গুগল, ইয়াহু, বিং  এরকম অসংখ্য সার্চ ইঞ্জিন আছে। ফেসবুক ও একটি সার্চ ইঞ্জিন। সার্চ ইঞ্জিন আমরা কি খুঁজি? আমাদের মাথায় যা আছে আমরা তো সার্চ করি। সার্চ ইঞ্জিন আমরা মূলত জানার জন্য বোঝার জন্য শেখার জন্য কয়েক পদের তথ্য অথবা ইনফরমেশন নেওয়ার জন্য আমরা সার্চ ইঞ্জিলে মূলত সার্চ করে। যেমন ধরেন আমার ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানা দরকার। আমি লিখলাম হোয়াট ইস ডিজিটাল মার্কেটিং? গুগলে যখন আমি এটা লিখে সার্চ করলাম তখন গুগল আমাকে একটা উত্তর দিয়ে দিল। সার্চ ইঞ্জিন সবসময় বেস্ট উত্তর দিবে কখনো ভুল উত্তর দিবেন না। প্রথম পেজের তুলনায় দ্বিতীয় পেজে একটু দুর্বলতা দেখাবে তৃতীয় পেজে আরেকটু দুর্বল দেখাবে এভাবে দশটা পেজ দেখাবে। এক কথায় সামনের পেজে যা আসছে সেগুলো সব থেকে বেস্ট উত্তর তাই সামনের পেজে নিয়ে আসছে। উত্তরের যোগ্যতা করা হয় ওয়ান টু থ্রি ফোর ফাইভ সিক্স সেভেন এইট নাইন টেন এভাবে রাঙ্ক করে। এখন প্রশ্ন হল সার্চ ইঞ্জিন আমরা কি দিয়ে সার্চ করি? কি ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করি। যে শব্দ বা বাক্য দিয়ে সার্চ করা হয় তাকে কিওয়ার্ড বলে। সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর মূল বিষয় হচ্ছে কীওয়ার্ড। যখন যার যে জিনিসটা প্রয়োজন হয় সে সেই জিনিসটাই এখানে লিখে দেয়। কিওয়ার্ড কতগুলো আছে ? কি ওয়ার্ডের সংখ্যা পৃথিবীতে যত ভাষা আছে। কতগুলো শব্দ আছে  প্রতিটি কিওয়ার্ড। বাংলা হোক হিন্দি হোক ইংলিশ আরবি হোক বা ফার্সি হোক। পৃথিবীতে যত ভাষা আছে প্রত্যেক ভাষায় যত শব্দ আছে প্রত্যেকটা শব্দকে কী ওয়ার্ড বলে। এক কথায় আপনি যা সার্চ করবেন সেটাই কি ওয়ার্ড। একটা এ লিখে সার্চ করবেন সেটাই কি ওয়ার্ড অথবা একটা বি লিখে সার্চ করবেন সেটাই কিওয়ার্ড। পৃথিবীর কেউ কি ওয়ার্ড সংখ্যা জানেনা। তাই আমরা বলতে পারি আনলিমিটেড কী ওয়ার্ড আছে।

 

 

কি ওয়ার্ড কয় প্রকার ?

পৃথিবীর সকল শব্দ এবং বাক্যগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন সিঙ্গেল কিওয়ার্ড ডাবল কিওয়ার্ড তিন নাম্বার হচ্ছে লং টেইল কিওয়ার্ড। একটা শব্দকে সিঙ্গেল কিওয়ার্ড বলা হয় আর দুইটা শব্দ। আর দুটো শব্দকে ডাবল কিওয়ার্ড বলা হয় আর দুইয়ের অধিক শব্দকে লং টেইল কিওয়ার্ড বলা হয়। এরপর হল ভ্যালু অফ কিওয়ার্ড। অর্থাৎ কোন কিওয়ার্ড এর ভ্যালু বেশি? এক নাম্বার হলো কিওয়ার্ড সার্চ রেজাল্ট দুই নাম্বার হলো কিওয়ার্ড সার্চ ভলিউম এর উপর। সার্চ রেজাল্ট হল গুগলের কাছে একটা কিওয়ার্ড কতগুলো ডাটা আছে? কিওয়ার্ডের ভ্যালু নির্ণয় করে কিওয়ার্ডের ডাটার উপরে। সার্চ ভলিউম হলো প্রতিদিন একটা কিওয়ার্ড মানুষ কতবার সার্চ করে। আর দুইটাই ইম্পোর্টেন্ট। গুগলে সার্চ করলে গুগল আমাদেরকে ওয়েবসাইট দেখায়। ১ থেকে ১০ নম্বর সিরিয়ালই দেখায়। এটাকে বলা হয় গুগল রেংকিং। বা সার্চ ইঞ্জিন রাঙ্কিং বলা হয়। প্রশ্ন আসতে পারে এক নম্বরে এটা কেন আসলো ২ নম্বরে ওইটা কেন আসলো তিন নাম্বারে অন্য আরেকটা কেন আসলো। যদি আমরা দশ নম্বর পেজে যাই অথবা আরও পিছে যাই ওয়েবসাইট দেখতে পারব। তার মানে গুগলের কাছে অসংখ্য ডাটা আছে কিন্তু এক নাম্বার পেইজে কারা আসলো ? পাশে কিভাবে এক নাম্বার পেজে আসলো? এটাকে বলা হয় গুগল টপ রেংকিং। এই গুগল টপ রেংকিং আবার দুইভাবে আসে। এক নম্বর হল পেইড মার্কেটিং করে ২ নাম্বার হল এসইও করে। অর্থাৎ পেইড মার্কেটিং করো আমার ওয়েবসাইটকে টপ ব্যাংকে নিয়ে আসতে পারবো আবার এসেও করেও আমার পেজকে টপ ব্যাংকে নিয়ে আসতে পারবো। তাহলে কোনটা ফ্রি কোনটা পেইড আমরা এখন বুঝবো কিভাবে। গুগলে যে যদি আমরা এখন দেখি ওয়ার্ডপ্রেস থিম তাহলে আমরা দেখতে পারবো ওয়েবসাইট গুলো এসেছে ব্লু হোসট নামে ওয়েবসাইটটার পাশে অ্যাড লেখা। ওয়ার্ডপ্রেস থিম হলো একটা কিওয়ার্ড। তারমানে এই কিওয়ার্ডে এই কোম্পানি পেইড অ্যাড দিয়েছে। গুগলে টাকা দিয়ে অ্যাড দিয়েছে তাই এই কোম্পানি প্রথমে এসেছে। নিচে যারা এসেছে তারা এসিওর যোগ্যতায়  এসেছে। এভাবে আমরা আরো অন্যান্য কিওয়ার্ডে দেখতে পারি যে কোন অ্যাডগুলো গুগলের টাকা দিয়ে টপ ব্যাংকে আসছে। গুগলে এসইও করে একটা ওয়েবসাইটকে টপ রেঙ্কে নিয়ে আশা অনেক কঠিন একটা কাজ। কিন্তু টাকা দিয়ে সামনে নিয়ে আসে এটা সহজ কাজ। টাকা হলে যেমন চাকরি হয়ে যায় ইনস্ট্যান্ট। কিন্তু যোগ্যতা থাকলেও লেখাপড়া করো চাকরি হয় যায় না অনেক সময়। খুব কষ্ট অনেক পরিশ্রম করতে হয়। ঠিক একই রকম এখানে। হঠাৎ পেইড এড দিলে আমাদের কিওয়ার্ড দিয়ে কাজ করতে হবে আবার এসইও করলে কিওয়ার্ড দিয়ে কাজ করতে হবে।